তোমার নামের শব্দ আমার কানে আর প্রাণে গানের মতো- মর্মের মাঝে মর্মরি' বাজে...
"তোমার নামের শব্দ আমার কানে আর প্রাণে গানের মতো- মর্মের মাঝে মর্মরি বাজে, 'কঙ্কা!' কঙ্কা! কঙ্কাবতী!” কঙ্কাবতী অনিন্দ্য প্রেমিকা হয়ে বুদ্ধদেবের কাব্যতে বিচরণ করে স্বচ্ছন্দে। স্থির হয়ে বসে পড়ে কঙ্কাবতী কাব্যগ্রন্থে। যে কাব্যগ্রন্থে কঙ্কাবতী দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে। কঙ্কাবতী কাব্য রচনার পূর্বে কঙ্কাবতীকে আমরা দেখতে পাই অন্য কোনো কবিতায়। যেখানে সে প্রেমিকার কাছে হয়ে ওঠে কুৎসিত কঙ্কাল, প্রগাঢ়ভাবে প্রাপ্তির জন্য সমস্ত কবিতা জুড়ে দেখতে পাই কবির অপরিবর্তনীয় আবেদন। বাংলার প্রাচীন লোকনায়িকা কঙ্কাবতীর প্রতি অন্তরঙ্গ আকর্ষণ কবি বহন করেন প্রত্নপ্রজ্ঞায়। ব্যক্তিগত প্রেম অভিজ্ঞতাকে চিরায়ত করার জন্য কবি লোকপুরাণের আশ্রয় নিয়েছেন। তার রোমান্টিক আবেগ-সংবেদনা লোকপুরাণের রোমান্টিক নায়িকার প্রেমাবেগের আধারে রূপায়িত। সুপ্রিয়া প্রেমিকা মুখ তোলামাত্র কবি হারিয়ে ফেলেন ওই সৌন্দর্যময় বাক্যগুলো, যা বলার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কবি দীর্ঘদিন। কঙ্কাবতী কবিতায় কবি কঙ্কাবতীর জন্য আকুলপ্রায়। কঙ্কাবতীর জন্য সে অধীর-প্রতীক্ষায় কাতর। কঙ্কাবতী শব্দটি কবির কাছে ধ্যানজ্ঞানের মতন। প্রসঙ্গত কবিতাকে উদ্ধৃত করা যায় : কঙ্কাবতী নাম কবিতায় কবি রক্তমাংসের কঙ্কাবতীর জন্য যেমন অধীর তেমনি বিমূর্ত কঙ্কাবতীর স্মৃতির প্রতি অনুগামী। প্রতিটি কবির যেমন মানসপ্রতিমা থাকে তেমনি বুদ্ধদেব বসুর আছে কঙ্কাবতী।